Advertise top
বিদেশ

কোন দেশ কী অস্ত্র ব্যবহার করছে

বরিশাল নিউজ বিদেশ ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম    

কোন দেশ কী অস্ত্র ব্যবহার করছে
মুজাফ্ফরাবাদের কাছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদ ভবনে পাহারা দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা। ছবি: আলজাজিরা

চিরবৈরি দু’দেশের সংঘাতে এখন পর্যন্ত কী কী সমরাস্ত্রের ব্যবহার হলো, তা নিয়ে কৌতূহল অনেকের। অনলাইনে এখন সেসব  উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে উচ্চ ও দীর্ঘ পাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম এমন বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে দিল্লি। এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল, হেমার বোমা ও লোটারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন) উল্লেখযোগ্য।

 

স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল: এটি একটি দূরপাল্লার মিসাইল, যা আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এটি ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। প্রতিপক্ষের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। মিসাইলটি মূলত বাঙ্কার, সামরিক ঘাঁটি ও সুরক্ষিত অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।

 

হেমার বোমা: এটি একটি স্মার্ট বোমা। নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। বিশেষ করে শক্তিশালী অবকাঠামো- যেমন কংক্রিটের বাঙ্কার ও বহুতল ভবন ধ্বংসে এই বোমা ব্যবহার করা হয়। এটি ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

 

লোটারিং মিউনিশন: এটি এক ধরনের ড্রোন। শত্রুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজরদারি, লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণ এবং চূড়ান্ত আঘাত হানার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ড্রোনগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় বাতাসে ঘোরাফেরা করতে পারে এবং লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্তের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অথবা দূরনিয়ন্ত্রিতভাবে হামলা চালিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে। এই অস্ত্রের বিশেষত্ব হলো- একবার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা হলে, এরা সরাসরি নিজেদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আঘাত হানে। ফলে এগুলোর পুনঃব্যবহার সম্ভব নয়।

 

স্থলভাগের শক্তি বিবেচনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে থাকলেও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ও মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর বা রকেট লঞ্চারের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি সংখ্যা ৬৬২, ভারতের ১০০। পাকিস্তানের মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর ৬০০, ভারতের ২৬৪।

 

এছাড়া অন্যান্য সমরাস্ত্রের মধ্যে ভারতের ট্যাংক সংখ্যা ৪ হাজার ২০১টি, সাঁজোয়া যান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি, টোওড আর্টিলারি বা টেনে নেয়ার কামান ৩ হাজার ৯৭৫টি। পাকিস্তানের ট্যাংক রয়েছে ২ হাজার ৬২৭টি, সাঁজোয়া যান ১৭ হাজার ৫১৬টি, টোওড আর্টিলারি ২ হাজার ৬২৯ টি।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal