প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ পিএম
ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার বাংলাদেশ।
ঢাকার ইন্টার-কন্টিনেন্টালে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তাঁরা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে ও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ভালো ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ জোরদার করেছি। ভারতের পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেছি। আমরা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অব্যাহত আলোচনাকে সমর্থন করি। রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ায় বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প—রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়েও কথা বলেন এবং এর ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসায় আমরা খুবই আনন্দিত। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করছে। আজকে এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনেক ইস্যু তুলে এনেছি। আমাদের ইস্যু ছিল, আমাদের রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট। আপনারা জেনে খুশি হবে যে এটি মোটামুটি অনটাইম শেষ হবে। আমাদের ইস্যু ছিল রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা (রাশিয়া) আমাদের সঙ্গে একাত্ম যে তাদের (রোহিঙ্গাদের) দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। এইভাবে আমরা তাদের সহায়তা চেয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ইউক্রেন ওয়ারের কারণে এই ব্যবসা-বাণিজ্যের যে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে- সেটি তুলে ধরেছি। আর আমরা বলেছি তাদের দেশে একটি ইকোনোমিক কমিশন আছে এশিয়ান ইকোনোমিক কমিশন সেটাতে তাদের পারটিসিপেন্ট চাই। তারা বলেছে, সেটা নিতে হলে বাকি রাষ্ট্রের যে সব সদস্য বিশেষ করে তাজাকিস্তান, তাদের পারমিশন লাগবে। সবাই মিলে ডিশিসন...। তো আমাদের দেশের যেগুলো বাইলিটারাল ইস্যু সেগুলো ওনার (লাভরভ) কাছে তুলে ধরেছি এবং হি ওয়াজ ভেরি সিমপিথেটিক এবং বলেছেন এইগুলো ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।’
ল্যাভরভের সফরকে পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে,রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষ করে ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন