বরিশাল নিউজ, পিরোজপুর
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
পিরোজপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এটিকে হামলা উল্লেখ করে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদের দায়ী করেছে জেলা বিএনপি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিব নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পিরোজপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান (২৪) ও কর্মী কে এম ফেরদৌস বাপ্পী শেখ (২২) এবং পৌর কৃষক দলের সহসভাপতি শাহীন গাজী (৫৪)। তাদের মধ্যে ফেরদৌসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সোবাহান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। ইতিমধ্যে রাকিব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, আগে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিল। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যায় পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিব নামের এক তরুণ ব্লেড দিয়ে এলোপাতাড়ি পোচ দিতে থাকে। যাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে আহত অবস্থায় মেহেদী হাসান দাবি করেন, ‘কয়েক দিন ধরে পিরোজপুরের বিভিন্ন দেয়ালে ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয়বাংলা’ স্লোগান লিখছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পুরোনো স্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্র হচ্ছে, এমন খবরে আমরা পৌর ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩০ জনের মতো ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের ওপর সার্জিক্যাল ব্লেড নিয়ে হামলা করা হয়েছিল।’
তবে এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ছাত্রলীগের কর্মীরা এলাকায় নেই। এ ছাড়া সংগঠনটির সঙ্গে রাকিব নামের ওই তরুণের কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন