Advertise top
রাজনীতি

বিএনপি নেতার ধাওয়া খেয়ে থানায় আশ্রয় নিলেন প্রতিবাদকারীরা

বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পিএম    

বিএনপি নেতার ধাওয়া খেয়ে থানায় আশ্রয় নিলেন প্রতিবাদকারীরা
বানারীপাড়া উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এবং সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ । ছবিধ সংগৃহীত

বরিশালের বানারীপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

 

এই অভিযোগ আনা হয়েছে বরিশালের বানারীপাড়া বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাইশারী ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব সবুর খান এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধে।

 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও প্রেসক্লাবের সামনে রবিবার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এবং সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেতা সবুর খানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে আয়োজকদের ধাওয়া করলে তারা থানায় আশ্রয় নেন। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পুলিশ এসে হামলাকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধাসহ দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা থানায় এসে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। তারা বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে সবুর মেম্বার ও তার লোকজন থানা থেকে চলে গেলে আটকে পড়া বৈষম্যবিরোধী ও ইসলামী ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বের হন।

 

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন– বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আতিকুল ইসলাম ওসমানি, উপজেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মো. ওলিউল্লাহ্, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার অর্থকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা নেয়ামতউল্লাহ, উপজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি এইচ এম শামিম প্রমুখ।

 

বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, মসজিদের মাহফিলের সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপি নেতা সবুর খানের সঙ্গে একটি পক্ষের বিরোধের জেরে ঘটনার সূত্রপাত। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এবং উপজেলার শিয়ালকাঠি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শীহাবউদ্দিন কয়েক বছর ধরে বার্ষিক মাহফিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজে অনুসারীদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে বিএনপি নেতা সবুর মেম্বার নিজেকে মাহফিল কমিটির সভাপতি ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও মসজিদের সহসম্পাদক নাঈমুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সবুর মেম্বার এবং তার অনুসারীরা তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এর প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal