বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রনিকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার অভিযোগে পুলিশের উর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তা এবং গৌরনদী- আগৈলঝাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
প্রায় সাড়ে নয় বছর পরে আজ মঙ্গলবার বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন নিহত রনির ছেলে আশিকুর রহমান আসিফ (২০)।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মোখলেচুর রহমান মামলাটি এজাহার রুজু করার জন্য আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন।
মামলায় আসামি পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- বরিশাল রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো.হুমায়ন কবির, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন, বরিশাল জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো.এহসানউল্যাহ, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, আগৈলঝাড়া থানার সাবেক ওসি মনিরুল ইসলাম।
আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান ও আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন সেরনিয়াবাত, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছাত্তার মোল্লা, সৈয়দ আশরাফ মিয়া, মামুন কবিরাজ, অনিমেষ মণ্ডল ও স্বপন মণ্ডল।
এছাড়া অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন আরও ৪০ জন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়- আসামি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন রনিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাদের প্ররোচনায় পুলিশ কর্মকর্তারা ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রনিকে ঢাকার নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে অমানুষিক নির্যাতন করে।
পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটায় আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস ব্রিজের পশ্চিম পাশে রাস্তায় রনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার বিষয়টি আসামিরা একযোগে ‘ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টার’ নামে প্রচার করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিদের ভয়ে এতোদিন মামলা করতে সাহস পাননি বাদী। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি।
মামলার বরাতে আইনজীবী পান্না বলেন, মামলার আসামি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, মোর্তুজা খান, রইচ সেরনিয়াবাত ও আবুল সালেহ লিটন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা গত ১৫ বছর ধরে সমগ্র জেলাকে একটি ‘নৈরাজ্য জনপদ এবং ভয়াল উপত্যকা’য় পরিণত করেন।
প্রধান আসামি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ১৯৭৪ সালে বিএম কলেজের ছাত্র নজরুল, সদরুল ও সমরেশকে রাতের আধারে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে খুন করেছেন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন