Advertise top
চিকিৎসা

“দোয়া কবুল হয়েছে; এখন অসুস্থ্যদের সেবা করতে চাই”

বরিশাল নিউজ

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪৪ এএম     আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ০১:২৮ এএম

“দোয়া কবুল হয়েছে; এখন অসুস্থ্যদের সেবা করতে চাই”
নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির মতবিনিময় সভা

বরিশাল শের- ই –বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। এসব সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সুধীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন নতুন দায়িত্ব পাওয়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপি।

 

নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে আজ  শুক্রবার, ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই হাসপাতালের মানোন্নয়ন এবং অসুস্থ্যদের সেবা করার জন্য আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করে আসছিলাম। আল্লাহপাক ১৬ বছর পর সেই দোয়া কবুল করেছেন। তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নগরীর দুইটি হাসপাতালের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন আপনাদের মতামত নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাব। সুন্দর হাসপাতাল আমার স্বপ্ন।”

 

সভা উপস্থাপনা করেন  আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আহমেদুল কবীর।

 

মতবিনিময় সভার শুরুতে জাসদ জেলা শাখার সভাপতি বলেন, বরিশালের রোগী ঢাকায় যাবে না সিদ্ধান্ত ছিল। অথচ দেখা যায় ভর্তির সাথে সাথে ক্রিটিক্যাল রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের ক্লিনার নিয়োগ প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, এই পদে শিক্ষিতদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, অথচ  তারা কাজ করেন না। তিনি হরিজনদের মধ্যে থেকে ক্লিনার  নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।

 

এডভোকেট তপন চক্রবর্তী এনজিওগ্রাম মেশিনটি সচল করার দাবি জানান।

 

আবিস্কার এর নির্বাহী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক সোহেল বলেছেন, আজকাল প্রাইভেট হাসপাতালগুলো দেখলে মন ভরে যায়। কিন্তু শের- ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। এই হাসপাতালে তাদের জমি রয়েছে উল্লেখ করে সোহেল বলেন, মৃত্যুর আগে হাসপাতালটির উন্নয়ন দেখে যেতে চাই। তিনি হাসপাতালের সামনে থেকে ক্লিনিক তুলে দেওয়ার মতামত দিয়ে বলেন, হাসপাতালের সামনে যত ক্লিনিক, তত দুর্নীতি হয়।

 

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেছেন, এই মেডিকেলে পড়েছি, তাই ভিতরের কথা জানি। আবার রাজনীতি করতে গিয়ে জনগণের পক্ষের লোক হয়ে গেছি।   ডা. মনিষা মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সব আলোচনা ও মতামতের কতটা বাস্তবায়ন হলো তাও যেন সবাইকে এইভাবে জানানো হয়।  ডা. মনিষা চিকিৎসা সেবায় সমস্যাগুলো লিখিত দিয়ে বলেছেন, এই হাসপাতালে পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স চালু করা জরুরী প্রয়োজন। এটা না হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা এখানে কাজ করতে আগ্রহী হন না।

 

পরিবেশ কর্মী মিজানুর রহমান হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষায় সিএমএইচ থেকে হাসপাতালের পরিচালক আনার পরামর্শ দেন।

 

ব্যবসায়ী নেতা মো.নিজাম উদ্দিন বলেছেন, এই মতবিনিময় সভায় যারা এসেছেন,তারা আপনার উপর আস্থা রেখে এখানে এসেছেন। আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন এই আশা সবার আছে। তাই এখানে ডিফেন্সের প্রয়োজন হবে না, আপনি নিজেই ডিফেন্সর লোক। আপনি যখন বরিশালে আসেন পায়ে হেটে হাসপাতাল ভিজিট করুন। হাসপাতালের যে কোন উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা আপনাকে সহযোগিতা করবে।

 

জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল হাই মাহবুব হাসপাতাল থেকে দেওয়া সুবিধাগুলো চার্ট আকারে টানিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

 

ডা.সৈয়দ হাবিবুর রহমান বরৈছেন, ১/৩ ডাক্তার দিয়ে হাসপাতাল চলছে। আগে জানতে হবে, হাসপাতালে কী আছে, আর কী নাই।

 

 

সংবাদকর্মী ফেরদৌস সোহাগ চিকিৎসা সেবার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, অনেক সেবা দেওয়ার পরেও কেন এত ক্ষোভ তা জানা দরকার। তিনি এজন্য জনবল সংকট দূর করার কথা বলেন।

 

হাসপাতালে কর্মরত ডা.সৌরভ সুতার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও  নিরাপত্তা প্রহরী বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণে ইন্টারকম এবং সাউন্ড সিস্টেম চালু করা দরকার বলেন তিনি। এছাড়াও  গণপূর্ত বিভাগের অধীন পানি, বিদ্যুৎ, টয়লেট লিফটসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলাদাভাবে নজরদারি বাড়ানোর  মতামত দেন তিনি। ডা. সুতার আরো বলেন, “আমাদের প্রতি ঘৃণা রাখবেন না। সবাই মিলে হাসপাতাল  ও চিকিৎসার মানোন্নয়ন করবো আমরা।”


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal