Advertise top
বাংলাদেশ

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০১:১৯ পিএম     আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীনতা দিবস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ৫৩ বছর পূর্ণ করে ৫৪ বছরে পদার্পণ করল।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহংকারের দিন আজ।

ইতিহাসের বিশাল স্তূপের নিচে। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবার জাতি স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস—স্বাধীনতার ইতিহাস। ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাঁথা গণবীরত্বের ইতিহাস।

নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসকে বারবার স্মরণ করতে হয়। স্বাধীনতার মাস মার্চে ইতিহাসের এ নির্যাসটুকু উপস্থাপন করার ঐকান্তিক এ প্রয়াস। বাঙালির মুক্তির সনদ হয় দফা দাবির সমর্থনে ও গণগগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমগ্রা পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হককে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুজ্জোহাকে সেনা সদস্যরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।

’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের ফলে ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়। জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান, লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তাসহ ৩৪ জনকে সম্মানের সঙ্গে মুক্তি দেওয়া হয়। ২৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগে বাধ্য হন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও সামরিক শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে।

১৭ ডিসেম্বর, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৮৮ আসন পায়। পাকিস্তান আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের পার্লামেন্টারি পার্টির লিডার এবং প্রাদেশিক পার্লামেন্টারি পার্টির সভায় এম মনসুর আলিকে পূর্ব পাকিজন পার্লামেন্টারি পার্টির লিডার নির্বাচিত করা হয়। ’৭০-এর নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং এম মনসুর আলী পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হতে থাকেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ বিজয় মেনে না নিয়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বুনতে থাকবেন।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ, পাকিস্তান রেডিওতে দুপুর ১:০৫ মিনিটে ৩ মার্চ অদ্ভুত জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্ট বললের জন্য স্থগিত ঘোষণা পর প্রতিবাদে হাজার হাজার দর্শক, ছাত্র-জনতা রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ৩ মার্চ পল্টনের মহাসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়। ৭ মার্চ পড়ন্ত বিকালে তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসমুদ্রে স্বাধীনতাসংগ্রামের মহানায়ক ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দৃপ্ত পায়ে মঞ্চে উঠলেন এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতাখানা পাঠ করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।  ঐতিহাসিক ভাষণের পর ঢাকাসহ সমগ্র দেশ জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে রূপান্তরিত হয়। ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থা মূলত বঙ্গবন্ধু নির্দেশেই পরিচালিত হতে থাকে। আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজ উইক ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সংখ্যার প্রচ্ছদ-স্টোরিতে বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে অভিহিত করা হয়।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal