Advertise top
বরিশাল

 মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে মাঝের চরের ঘরবাড়ী, ফসলি জমি

শরীফ হোসাইন, ভোলা

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম    

 মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে মাঝের চরের ঘরবাড়ী, ফসলি জমি
মেঘনার ভাঙ্গনে ভোলার মাঝের চর

ভোলার বিচ্ছিন্ন মাঝের চরে মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে গত কয়েকদিন ধরেই বিলীন হচ্ছে বসতঘর ও ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়ে ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হচ্ছেন কৃষকরা।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে মাঝের চরের রামদেবপুর, চর টবগী ও মধুপুরের পাঁচটি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন চলছে। এতে প্রতিদিনই কমবেশি ফসলি জমি ও বসতঘর মেঘনায় বিলীন হচ্ছে।

 

মাঝের চরের বাসিন্দা মো.আলী হোসেন জানান, মেঘনার ভাঙনে বসতঘর হারিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছেন। বিলকিস বেগম, জাহানারা বেগম ও মো. বেলায়েত হোসেন জানান, বসতঘর অনেক বছর আগে মেঘনায় বিলীন হয়েছে। পরে মাঝের চরে এসে সরকারি ঘর পেয়ে শান্তিতে বসবাস শুরু করি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে মেঘনায় তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে ভাঙন থাকলে হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের বসতঘরও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

 

কৃষক মো. লোকমান হোসেন হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. শাজাহান জানান, প্রতি বছর ভোলার এই চরে ধান, গম, ভূট্টা, সরিষা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করি। কিন্তু এখন মেঘনার ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন দ্র্বত বন্ধ করা না হলে মাঝের চরে চাষাবাদ থাকবে না বলেন তিনি।

 

মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মো. জহির ও মো. রাসেল জানান, মাঝের চরে প্রায় আট হাজার মানুষ বসবাস করছে। তাদের বেশিভাগই কৃষি কাজে যুক্ত। আর অল্প কিছু পরিবার মাছ শিকার করে। গত প্রায় দুই বছর ধরে মাঝের চর ভাঙন শুরু হয়েছে। তখন খুবই কম ভাঙতো। কিন্তু এখন ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। মাঝের চরের নদীতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে বর্তমানে বেশি ভাঙন বলে দাবি করেন তারা। তারা আরও জানান, দ্র্বত ভাঙনে রোধ না করলে ফসলি জমি, বসতঘরের পাশাপাশি আশ্রায়ণ প্রকল্প ঘর, সাইক্লোন শেল্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যাবে।

 

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো ডিভিশন-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, একটি প্রকল্প পাশের মাধ্যমে আমরা মাঝের চরকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারবো। এজন্য শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এছাড়াও বালু মহল সীমানার বাহিরে এসে কেউ যাতে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং করা হবে।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৪

Developed By NextBarisal