প্রভাতী অনুষ্ঠান, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, ঢাক উৎসব, রাখী উৎসব, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং পৃথক বৈশাখী মেলার মধ্য দিয়ে বরিশালে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ উদযাপন। বর্ষবরণের প্রতিটি অনুষ্ঠানে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং অতীতের জরার্জীণতা পেছনে ফেলে পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। নতুন বছরে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ মুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রত্যাশা করেন সবাই।
নাচে-গানে আনন্দ ছড়িয়ে প্রভাতী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিএম স্কুল মাঠে। উদীচী শিল্পিগোষ্ঠীর বরাবরের মতো এই আয়োজনে উৎসব প্রিয় লোকেরা ছুঠে আসেন শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে।
সকালের নিরবতা ভেঙ্গে ঢাকের আওয়াজ আন্দোলিত করে আশেপাশের সবাইকেও। রাখী পরিয়ে করা হয় প্রজন্ম বন্ধন। উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মানিত করা হয় বিশিষ্টজনদের । সাংস্কৃতি কর্মীদের বর্ষবরণের এই আয়োজন উপভোগ করেন সবাই। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল সাড়ে ৮টায় বিএম স্কুল চত্ত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় মঙ্গল শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার বিএম স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বিএম স্কুল মাঠে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে উদীচী।
এদিকে সকাল ৭টায় নগরীর সদর রোডের সিটি কলেজ চত্ত্বরে নৃত্য, সংগীত এবং আবৃত্তি পরিবেশন শেষে গুনীজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের রাখি পড়ানোসহ সন্মাননা প্রদান করে বর্ষবরণ করে চারুকলা বরিশাল। ৭টা ৫৯ মিনিটে সিটি কলেজ মাঠ থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জেলা প্রশাসনের মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউস থেকে ।
এছাড়া টিবি হাসপাতাল মাঠে চাঁদের হাটের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা, প্রেসক্লাবে পান-া উৎসব ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, জেলা পুলিশের বৈশাখী অনুষ্ঠান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বিএম কলেজ ও আপন সংগীত বিদ্যালয় এবং শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার পৃথক বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বরিশাল নিউজ/এমএম হাসান