প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আবার বিজয়ী করার আহবান জানিয়েছেন। বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি হাত তুলে জনগনকে নৌকায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,যারা এতিমদের টাকা মেরে খায়, তাদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নতি হয়।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ বাংলার জনগণের বহু আকাঙ্খিত পদ্মা সেতু নির্মাণে বিএনপির অসহযোগিতার সমালোচনা করে বলেন, তাঁর সরকার ২০০১ সালে পদ্মাসেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছিল এবং খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে তাঁর সরকার এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করার প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, তিনি রাজনীতি করেন জনগণের জন্য, তাঁদের কল্যাণের জন্য। কাজেই জনগণের টাকা মেরে খেতে ক্ষমতায় আসেননি।
তিনি নিজেদের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণে তার সংকল্পের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আজকে আপনাদের দোয়া ও আশির্বাদে সেই পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থেই নির্মাণ করছি।
প্রধানমন্ত্রী ভোলা থেকে পাইপ লাইনে বরিশালে গ্যাস , বরিশালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,বরিশাল – ভোলা নদীর ওপর সেতু নির্মান করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ওই লুটপাটকারী, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী, এতিমের টাকা লোপাটকারীদের স্থান এই বাংলার মাটিতে হবে না। তারা ক্ষমতায় আসা মানেই দেশকে ধ্বংস করে দেয়া।
শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যও অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান।তিনি বলেন সন্তনরা কোথায় যায় তা লক্ষ্য রাখুন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে পুরো বরিশাল উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। আলোকসজ্জা,তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে বর্ণিল হয়ে উঠে বরিশাল। সকাল থেকেই নগরীর মধ্যে গাড়ি এমনকি রিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দোকান-পাটও অধিকাংশই বন্ধ হয়ে যায়। লঞ্চ ,বাস ভর্তি করে হাজারো উৎফুল্ল জনতা সমাবেশে যোগ দিতে আসেন।
বরিশাল নিউজ/এমএম হাসান