
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম বাপ্পিসহ আটক ১০ -বরিশাল নিউজ
বরিশালে প্রশ্নপত্র ফাঁস পরিকল্পনার অভিযোগে ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময়ে আটককৃতদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাসের জন্য ব্যহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানায় শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান বরিশাল পুলিশ কর্মিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোডের আবাসিক হোটেল ইম্পেরিয়ালের ৪০৬ নম্বর রুম তল্লাশী করে নগদ দেড়লাখ টাকা, ৩টি আধুনিক বৱু-টুথ ডিভাইস এবং ৮টি মোবাইল ফোন সেট সহ জালিয়াত চক্রের অন্যতম হোতা শহিদুল ইসলাম সোহেল এবং প্রাথমিক শিৰক নিয়োগ পরীক্ষার্থী ফাতেমা বেগম, নাজনীন নাহার মনি, এলিনা বেগম রূপা ও অভিভাবক আনোয়ার হোসেন ফকির, আহসান হাবিব হাওলাদার, জহিরউদ্দিন জুয়েল হাওলাদার, জায়েদা খাতুন (৩০) ও মোঃ বাদল ব্যাপারি (৩৮) কে আটক করে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পী ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম সোহেল সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে সহায়তা করে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিনজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা করে মোট ছয় লাখ টাকা নেন। বাপ্পী সোহেলকে দালালীর দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাকী সাড়ে চার লাখ টানা নিয়ে চলে যায়।
অভিযানকালে ৩টি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বু্লটুথ ৮টি মোবাইল সেট ও নগদ ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মহিউদ্দিন মাহি (পিপিএম) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান, ওসি আওলাদ হোসেন মামুন ও এসআই মহিউদ্দিন মাহি।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে চারজন বিভিন্ন পরীক্ষা প্রক্সি দেয়ার কাজ করতো। আর বাকীরা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বু্লটুথ’র সাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিতো। আর গোটা পরিকল্পনার মূল নিয়ন্ত্রকারী রেজাউল করিম বাপ্পি।