মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে তার দল। কাগজে-কলমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী দল আর ফরচুন বরিশালকে বলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি নিখুঁত দল।
একটি দলের যা প্রয়োজন তার সবকিছুই আছে ফরচুন বরিশালের। শুধুমাত্র একজন সাকিব আল হাসান নয়, আছেন মেহেদি হাসান মিরাজের মত অলরাউন্ডারও। বরিশালের আছে দ্রুত গতির পেসার। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ধীর উইকেটে কার্যকর হতে পারে এমন মিডিয়াম পেসারও রয়েছে। ভালো মানের স্পিনার এবং কার্যকরী বিদেশী খেলোয়াড়ও আছে দলটির, যারা এই কন্ডিশনে ভালো করার সামর্থ্য রাখে। সাকিব এবারের বিপিএল ট্রফি জিতলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
কিন্তু অন্যান্য দলের মতো বরিশালেরও দুর্বল জায়গা রয়েছে। তাই মিডল অর্ডারের জন্য ভাবা হচ্ছে সাকিব, মেহেদিমিরাজ, আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান, পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ। মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করতেই তাদের সাথে সরাসরি চুক্তি করে বরিশাল।
শ্রীলংকার আক্রমণাত্মক ব্যাটার কুশল পেরেরা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনিং অলরাউন্ডার রাকিম কর্নওয়ালকে দলে নিয়েছে বরিশাল। লেগ-স্পিনার হিসেবে পাকিস্তানের উসমান কাদিরও আছেন বরিশালে।
গত বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের সবচেয়ে সফল পেসার এবাদত হোসেনকে নিয়ে পেস আক্রমণ সাজাবে বরিশাল। এবাদতের সাথে আছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, কাজী অনিক, খালেদ আহমেদ। আফগানিস্তানের করিম জানাতও পেস আক্রমণে থাকায় পর্যাপ্ত বিকল্প পাচ্ছে বরিশাল। বরিশাল দলে যারা আছেন এই কন্ডিশনে তারা কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারবেন এবং বেশিরভাগ বিদেশী খেলোয়াড়কে পুরো মৌসুমেই পাওয়া যাবে।
ফরচুন বরিশাল:
সরাসরি চুক্তি: সাকিব আল হাসান, ইফতেখার আহমেদ (পাকিস্তান), মোহাম্মদ ওয়াসিম (পাকিস্তান), ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান), করিম জানাত (আফগানিস্তান), উসমান কাদির (পাকিস্তান), রাকিম কর্নওয়াল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান), কুসল পেরেরা (শ্রীলংকা)।
ড্রাফট থেকে স্থানীয় খেলোয়াড়: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, সাইফ হাসান, কাজী অনিক, সানজামুল ইসলাম, সালমান হোসেন।
বরিশাল নিউজ/ ডেস্ক নিউজ