গ্রাম পুলিশ সদস্যদের (চৌকিদার) বেতন থেকে ইউএনও’র অফিস সহকারীর নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন।
ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন শুন্য পদ ঝুলে ছিলেন তারা। উপজেলা নির্বহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৬ জন গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গত ১৩ অক্টোবর নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রামপুলিশ সদস্যদের প্রথম দুই মাস ১০দিনের বেতন বাবদ ৭ হাজার ৫৪৮ টাকা করে প্রদান করা হয়। গত বুধবার থেকে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বেতনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে সিদ্দিকুর রহমান প্রত্যেক গ্রামপুলিশ সদস্যর কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন সকল গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সিদ্দিকুর রহমানকে নির্দেশ দেন। সিদ্দিকুর রহমান বৃহস্পতিবার ওই টাকা ফেরত দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান টাকা নেওয়া কথা স্বীকার করে বলেন, প্রথম বেতন থেকে মন্ত্রণালয় ও ডিসি অফিসে মিষ্টি খাওয়ার জন্য তিনি এই টাকা নিয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করে মিষ্টি খাবারের প্রশ্নই উঠেনা। টাকা ফেরত দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল নিউজ/ অঅগৈলঝাড়া