ভোলার লালমোহন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ২০০৯ সালের এই দিনে ডুবে যায় এমভি কোকো-৪ লঞ্চ। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান ৮১ জন। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনই ছিল লালমোহনের বাসিন্দা।
লালমোহন থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, “লঞ্চ দুর্ঘটনার পর ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বর লালমোহন থানায় কোকো লঞ্চ চালক ও মাস্টারসহ ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১১ সালে পুলিশ ওই মামলার চার্জশিট দিয়েছে।”
২০০৯ সালে ঈদে ঘরমুখি যাত্রী নিয়ে ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে ভোলার লালমোহনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। রাতে নাজিরপুর ঘাটের কাছে ডুবে যায়।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিক আইয়ুব ২ ডিসেম্বর এই ঘটনায় মামলা করেন। পরে ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তদের মুখ্য পরিচালক শফিকুর রহমান ৯ জনের রিরুদ্ধে সম্পূরক মামলা দায়ের করেন।
৮ বছর বিচার প্রক্রিয়ার পর নৌ-আদালতের (মেরিন কোর্ট) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী হাসিনা পারভীন ৯ জনের চার বছর করে কারাদণ্ড দেন। রায়ে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো নয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া রায়ে কোকো-৪ লঞ্চের মালিক মেসার্স রহমান শিপ বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণমূলক অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যা আদায়ের পর ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বরিশালনিউজ/ ভোলা